রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তৃতি ও আরও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর


admin প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন /
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তৃতি ও আরও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করার বিষয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদশে রাশিয়ার বিনিয়োগ আগামী দিনে আরও বাড়বে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান ড. হাছান মাহমুদ।

রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত চমৎকার ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক আছে, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়ার অর্থায়নে ও টেকনোলজিক্যাল সাপোর্টে আমরা নির্মাণ করেছি। খুব শিগগির এটি উৎপাদনে যাচ্ছে। আমরা নিউক্লিয়ার নেশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি তাদের সহায়তায়।’

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধ-পরবর্তীকালে বাংলাদেশ পুর্নগঠনে রাশিয়ার ব্যাপক অবদানের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া রেডিমেড গার্মেন্টস, পাটসহ নানা পণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশও রাশিয়া থেকে গম, সারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে। দুই দেশের ‘বাণিজ্য ঝুড়ি’ আরও সম্প্রসারিত করার বিষয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষরের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্যের বিষয়ে অনেক দেশের সাথে আলোচনা চলছে। ভারতের সাথে আমরা কিছুটা শুরু করেছি। রুবলে বিনিময়ের ব্যাপারে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আমার সাথে আলোচনা করেছেন। এটি যদি আমরা করতে পারি বিভিন্ন দেশের সাথে, তাহলে নির্দিষ্ট কোনো মুদ্রার ওপর আমাদের নির্ভরতা কমবে। এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য অবশ্যই সহায়ক হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন ছিল। সেই অধিবেশনে ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া, ইউকে, ইইউ, চীন, ফ্রান্স, জার্মানির রাষ্ট্রদূতসহ ৮০ জন ডিপ্লোম্যাট উপস্থিত ছিলেন।

শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ছাড়া অন্যদের ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না, আদালতের এ নির্দেশনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এই রায় দেওয়াতে যথেচ্ছভাবে বিভিন্নজনকে যে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়, সেটি বন্ধ হবে।