২৮ জান্তা সেনা আত্মসমর্পণ করেছে, দাবি বিদ্রোহীদের


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ৬:৫৯ পূর্বাহ্ন /
২৮ জান্তা সেনা আত্মসমর্পণ করেছে, দাবি বিদ্রোহীদের

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির জাতিগত বিদ্রোহীদের লড়াই তীব্র রূপ নিয়েছে। দেশটির বিভিন্ন অংশে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের গতি বাড়িয়েছে।

আজ বুধবার বিদ্রোহী একটি গোষ্ঠী দাবি করেছে, জান্তা বাহিনীর কয়েকজন ডজন সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে। খবর রয়টার্সের।

পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে এমন দলটি বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ২৮ জন সদস্য তাদের অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে আরাকান আর্মির (এএ) কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ১০ জনকে বন্দী করেছে এএ।

গত মাসের শেষ থেকে মিয়ানমারের তিনটি সংখ্যালঘু আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী একজোট হয়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে। 

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর থেকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে এবারই প্রথম পড়তে হয়েছে তাদের। 

বিদ্রোহীরা চীন সীমান্তবর্তী জান্তা নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি শহর ও সামরিক পোস্ট দখল করে নিয়েছে। চলতি সপ্তাহে রাখাইন রাজ্য ও চীন রাজ্যে নতুন করে আরও দুই জায়গায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে। 

রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ে শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। যেখানে সামরিক ট্যাংক দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার জান্তার একজন মুখপাত্র জাও মিন তুন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে ‘পুরো দেশ ধ্বংস’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তার দাবি, সামরিক পোস্ট দখলের খবর স্রেফ ‘প্রপাগান্ডা’। 

জাও মিন তুন বলেন, ‘শান, রাখাইন ও কায়া রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই চলছে। আমরা কৌশলগতভাবে ছোট সামরিক পোস্টগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করছি। শত্রুরা যোদ্ধা হারানোর পর পিছু হটছে।’ 

সেনাদের আত্মসমর্পণের খবরের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

মিয়ানমারের জান্তা মনোনীত প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে বলেছিলেন, বিদ্রোহীদের ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় মিয়ানমার ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সেনাবাহিনীর দাবি, তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।