তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। ছবি: ফেসবুক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
পোস্টে সোহেল তাজ দাবি করেন, বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে কেউ তাকে ফলো করছিলো। তিনি বলেন, ‘এইভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা। এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে।’
পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘আজকে (বুধবার) রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে থাকা লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে।’
‘আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা জিজ্ঞেস করি। প্রতি উত্তরে সে আমাকে বলে, তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা। জবাবে সে আমাকে বলল আমি আপনাকে চিনি-আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বলল যে, সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বলল। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোন উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বলল। তারপর আমাকে বলল, চলে যেতে। আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল।’
সোহেল তাজের ফেসবুক পোস্ট
পোস্টে সোহেল তাজ দাবি করেন, ‘তার কথা বলার ধরণ এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এইভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা। এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে, ছি ছি।’
এই ঘটনার তদন্তের দাবি করে সোহেল তাজ পোস্টে লিখেছেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন এবং ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেটের প্রবেশ পথের হাই-রেজুলেশন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজ দেখলেই ধরা যাবে কে এই মোটরসাইকেল আরোহী। সময় বুধবার রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে ১১টা। আমার গাড়ি এই সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পেছনেই এই মোটরসাইকেল আরোহী ছিলো।’
আপনার মতামত লিখুন :