প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশের সময় আজ বুধবার) ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। ৯০ মিনিটের এই বিতর্কে দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যম এবিসি নিউজ এ বিতর্কের আয়োজন করছে। বিতর্ক ইস্যুতে দুই প্রার্থীর জন্য কিছু নিয়মও বেঁধে দিয়েছে এবিসি কর্তৃপক্ষ। খবর: দ্য হিলের।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থীরা একে অপরের বিপরীতে মঞ্চে দাঁড়াবেন এবং বিপরীত দিক থেকে প্রবেশ করবেন। মডারেটররা প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর, প্রশ্নের মাধ্যমে বিতর্ক শুরু হবে। প্রার্থীরা কোনো স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাবেন না। মডারেটর ডেভিড মুইর এবং লিনসে ডেভিস প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন এবং প্রার্থীদের একে অপরকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য দুই মিনিট করে সময় পাবেন ট্রাম্প-কমলা। জবাবের পর পাল্টা জবাব দেয়ার জন্য অপর প্রার্থী পাবেন আরও দুই মিনিট। তাছাড়া, পূর্বলিখিত কোনো নোট বা প্রপস রাখা যাবে না।
দুটি বিজ্ঞাপন বিরতিসহ ৯০ মিনিটের এই বিতর্কে প্রার্থীদের দুই মিনিটের সমাপনী বিবৃতি দেওয়ার সুযোগ থাকবে। বিজ্ঞাপন বিরতিসহ বিতর্ক চলমান থাকাকালীন ট্রাম্প-কমলা তাদের প্রচার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন না।
বিপুলসংখ্যক দর্শক টেলিভিশনে কমলা ও ট্রাম্পের এ বিতর্ক অনুষ্ঠান দেখবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিতর্কের মঞ্চে কমলা কি আদৌ তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ঘায়েল করতে পারবেন, নাকি প্রতিদ্বন্দ্বীর আক্রমণাত্মক বক্তব্যে নিজেই ধরাশায়ী হবেন- এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
রিপাবলিকান সমর্থকেরা বলছেন, মঞ্চে কথা বলতে পারবেন না কমলা। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট সমর্থকেরা বলছেন, কমলার প্রস্তুতি যথেষ্ট ভালো। তিনি মঞ্চে প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দিতে প্রস্তুত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিতর্কে ট্রাম্প-কমলার পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়বে নির্বাচনের ফলাফলে। ফলে বিতর্কটিকে দুজনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল পরীক্ষা হিসাবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ধরনের একেবারে ভিন্ন ধরনের দুই প্রার্থী এর আগে কখনো মুখোমুখি হননি। ফলে এ বিতর্ক হবে খুবই আকর্ষণীয় ও সচেতনতামূলক এবং নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণকারী।
আপনার মতামত লিখুন :