কৃষকের পকেট কাটছে কারা?


admin প্রকাশের সময় : জুন ৭, ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন /
কৃষকের পকেট কাটছে কারা?

ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট ফুলছড়ির মরিচের হাট

‘খাজনা দেওন (দেওয়া) লাগে মণ প্রতি ৮০ ট্যাকা, কাটা (ওজন) করতে দেওন লাগে মণ প্রতি ৮০ ট্যাকা। আবার এক মণ শুকনো মরিচ লোড-আনলোড করতে লেবারকে  (শ্রমিক) দেওন লাগে বস্তা প্রতি ৮০ ট্যাকা। নদী ভাঙতে ভাঙতে হাটের জায়গাও এখন কমি গেছে। হাটত এমন কোন জায়গা নাই যে, ঝড়-বৃষ্টি হলে মাল নিয়ে সেখানে আশ্রয় নিতে পারুম (পারবো)। অনেক কষ্ট করি মরিচ আবাদ করি। কম ট্যাকা খরচ হলে হামার জন্য ভালো হতো। এমনিতেই এবার মরিচের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম। এক মণ মরিচ বেচপ্যার (বেচা) আসি এমরা যেভাবে অর্থ চুষি নেয়, এটা হামার মতো কৃষকের উপর জুলুম ছাড়া আর কিছুই নয়’

 

এভাবেই হতাশা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার এড়েন্ডাবাড়ি চর থেকে আসা মরিচ চাষি ছামাদ মিয়া। গত মঙ্গলবার তিনি ফুলছড়ির গজারিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র ঘাট সংলগ্ন হাটে শুকনো মরিচ বিক্রি করতে এসেছিলেন।

ভুট্টার পাশাপাশি জেলার ব্রান্ডিং পণ্য শুকনো লাল মরিচ। প্রতি বছরের মতো এবারও গাইবান্ধার ফুলছড়িতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। নদী বেষ্টিত এই জেলার সাত উপজেলার ১৬৫ চরে মরিচ চাষ বেশি হয়। জেলার একমাত্র মরিচের হাট বসে ফুলছড়ি হাটে। এতবড় মরিচের হাট উত্তরবঙ্গের আর কোথাও নেই।

 

ঐতিহ্যবাহী এই হাটে বিশ্রামাগার না থাকা, পয়ঃনিষ্কাশন ও পানি পানের ব্যবস্থা না থাকা, অতিরিক্ত খাজনা আদায়, লেবার ফি, আড়তদারি থেকে মণ প্রতি কাটা (ওজন) করতে এক কেজি মরিচ নেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন অনেক কৃষক ও পাইকাররা। এদিকে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইজারাদারকে সরকার নির্ধারিত খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা হাটে টাঙিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও এমন দৃশ্য দেখা যায়নি

কৃষি মন্ত্রণালয় বিভাগের আরো খবর

আরও খবর