সাভার-আশুলিয়ার রাজনীতিতে আলোচিত নাম শহিদুল ইসলাম। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে তিনি যুবদলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে রহস্যজনকভাবে আটক হয়েছিলেন। পরিবার ও সহকর্মীদের অভিযোগ ছিল, তাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন তাকে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল।
✦ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
২০২৫ সালে আবারও নতুন করে আলোচনায় আসেন শহিদুল ইসলাম। আশুলিয়ার বহুল আলোচিত “দেহ পোড়ানোর মামলা”–তে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে অভিযুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। বর্তমানে এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।
✦ রাজনৈতিক মঞ্চে সক্রিয়তা
আইনি ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও শহিদুল ইসলাম রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন। ২০২৫ সালের ১৭ মে সাভারে যুবদলের এক সভায় তিনি তীব্র বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন,
“বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিনা অপরাধে জেল-জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই দুঃশাসনের বিচার একদিন হবেই।”
তিনি আরও আহ্বান জানান, দলের নেতা-কর্মীরা যেন ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলনের পথে অটল থাকেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবিচল থাকেন।
✦ দলের অবস্থান
স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতারা শহিদুল ইসলামের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে তার মুক্ত ও নিরাপদ রাজনৈতিক কার্যক্রম নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাকে আইনি মামলায় জড়ানো হয়েছে।
✦ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শহিদুল ইসলামের ভবিষ্যৎ আইনি পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
—
ইনফো বক্স: শহিদুল ইসলাম এক নজরে
পদবি: সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাভার থানা যুবদল
২০২৩: ডিবি পরিচয়ে আটক, কয়েকদিন নিখোঁজ ছিলেন
২০২৫: আশুলিয়া হত্যাকাণ্ড মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত
রাজনৈতিক ভূমিকা: সাভার-আশুলিয়া এলাকায় যুবদল ও বিএনপির সক্রিয় নেতা
আপনার মতামত লিখুন :