পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান সহকারী একই স্থানে বহাল তবিয়তে ৩২ বছর।


admin প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৮, ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন /
পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান সহকারী একই স্থানে বহাল তবিয়তে ৩২ বছর।

সাঈদ হাসান পাটগ্রাম প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ কম্পেলেক্স এর প্রধান সহকারী খালেদা আক্তার রিনা ৩২ বছর ধরে  বহাল তবিয়তে একই স্টেশনে রয়েছেন। ইতি মধ্যে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম সহ-ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে জানা গেল এমন সব তথ্য। তিনি দীর্ঘদিন একই উপজেলায় কর্মরত থাকায় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বলে জানাগেছে।

 

নাম না প্রকাশ করার সত্যে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকুরীরত একজন বলেন। এমন কোনো ফাইল নেই  তিনি টাকা নেন না। টাকা না দিলে কোনও ফাইল পার হয় না। দীর্ঘ দিন একই স্থানে চাকুরী করার কারণ জানতে চাইলে এলাকার দু,চারজন বলেন,আ”লীগ সরকারের আমলে তার বিপক্ষে কেউ কথা বললে তাকে নাকানী জুবানী ক্ষেতে হতো তার দাপটে কেউ কথা বলতে পারতনা। পাটগ্রামের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক থাকায় ও তার স্বামী লতিফুল ইসলাম আ”লীগের নেতা হওয়ার  কারণে তার বিপক্ষে কেউ কথা বরতে পারতো না। কয়েক বার বদলীর আদেশ হলেও ক্ষমতার জোরে তা বাতিল করেন তিনি। এভাবেই তিনি একই স্থানে  ৩২ বছর বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন দেখার কেউ নেই এটা যেন মগেরমুলুক।

৫ আগষ্টের পরে ছাত্র জনতার আন্দোলনে আ”লীগর পরাজয় হলে পাল্টে যায় প্রেক্ষাপট। সম্প্রতি যুগের আলো পত্রিকার সাংবাদিক  ও প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক  সাইফুল সবুজ তার  দুর্নীতির বিপক্ষে তথ্য চাইতে গেলে তাকে কৌশলে  পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেন। কথা বলা শেষ হলে কিছু বখাটে টাকা দিয়ে ভারা করে তাকে হুমকি ধামকি দেন। প্রাণ সংশয়ে সাংবাদিক সবুজ একপর্যায়ে পাটগ্রাম থানায় খালেদা আক্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তার অনুলিপি লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে প্রেরোণ করেন।

এ বিষযে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে চাকুরীরত প্রধান সহকারী খালেদা আক্তার রিনার সঙ্গে  মুটো ফোনে আলোচনা হলে তিনি বলেন, একই স্থানে বেশী দিন চাকুরী করা যাবে কে বলেছে?? এ মেডিকেলের স্টোর কিপার তিনি দীর্ঘ দিন এই হাসপাতালে চাকুরী করেছেন।আমি করলে দোষের কি?? তিনি বলেন বেশী দিন একই স্থানে চাকুরী করার বিষয়টি উপর মহল জানেন। তারা কেনও আমাকে এতদিন এখানে রেখেছে তা তারাই ভালো বলতে পারবেন।

তার বিরুদ্ধে  অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয জানতে চাইলে তিনি বলেন এখানে দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়নি আমি এবিষয় কিছুই বলতে পারবো না। যা বলার স্যার বলবেন পরে তার স্বামীকে ক্ষেতে দেয়ার কথা বলে ফোন কেটে দেন।

 

এব্যপারে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার রায় সাথে মুঠোফোন আলোচনা হলে তিনি  বলেন,  সাংবাদিক হয়রানীর বিষয়টি শুনেছি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক জরুরী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।।