লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিপাড়া ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের কোদালের কোপে হাফিজার রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) জয়ন্ত কুমার সেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। এর আগে রোববার বেলা ১ টার দিকে ওই উপজেলার ফকিপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার ভোর রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত হাফিজার রহমান ওই গ্রামের মৃত আফতাব হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন ছেলে দুলাল হোসেন (৫০),আহাদুল ইসলাম (৪৫), শহিদুল ইসলাম (৪০),রশিদুল হোসেনের (৩৮) সাথে একই গ্রামের হাফিজার রহমানের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওইদিন বিরোধপূর্ণ জমিতে আইল কাটতে যায় অভিযুক্তরা। এ সময় হাফিজার রহমানের মামি মনোয়ারা বেগম জমির আইল কাটতে বাধা দিলে তাকে মারধর করেন। এ খবর শুনে হাফিজার রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বাঁধা দিতে গেলে অপরপক্ষের দুলাল হোসেন ও আহাদুল ইসলামসহ তাদের সহযোগীরা তাকে কোদাল দিয়ে মাথা কোপ দেয়। এতে রক্তাক্ত জখম হয় হাফিজুর রহমান। পরে তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরদিন সোমবার ভোর রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত হাফিজার রহমানের বড় মেয়ে হিরা মনি বলেন- দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশী দুলাল হোসেন, আহাদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, রশিদুল হোসেনসহ তাদের দলবলের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিবাদ চলছে। রোববার দুপুরে তারা জোর করে জমির আইল কাটতে যান। এ সময় তারা আমার নানী মনোয়ারা বেগমকে মারধর করে। খবর শুনে আমার বাবা বাধা দিতে গেলে তারা কুপিয়ে জখম করে। বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার সকালে রশিদুল ইসলাম এবং সৌখিন হোসেন নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাঈদ হাসান লালমনিরহাট প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন :