মহানবীর (সা.) পুরো জীবনই আমাদের জন্য আদর্শ: ধর্ম উপদেষ্টা


admin প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ২:৩৫ পূর্বাহ্ন /
মহানবীর (সা.) পুরো জীবনই আমাদের জন্য আদর্শ: ধর্ম উপদেষ্টা

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা বক্তব্য রাখেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মহানবীর (সা.) পুরো জীবনই আমাদের জন্য আদর্শ। তার আদর্শকে যদি আমরা ধারণ করতে পারি এবং সেটা যদি আমরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে চর্চা করতে পারি, তাহলে সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারব। আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত ‘মহানবীর (সা.) সাম্য ও সম্প্রীতির আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, নবী করিম (সা.) আমাদের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন।

হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রে যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার কিংবা জুলুম করে, তাহলে কিয়ামতের দিন মহানবী (সা.) সেই মুসলিমের বিপক্ষে দাঁড়াবেন। যুদ্ধের ময়দানে নারী ও শিশুদের প্রতি একজন মুসলিম যোদ্ধার নীতি কী হবে, সেই বিষয়েও নবী করিম (সা.) নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও রাসুল (সা.) অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ১ হাজার ৪০০ বছর আগে পৃথিবীতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই প্রথম ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার বিশেষ কোনো মর্যাদা নেই।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন  বলেন, নবী করিম (সা.) হলেন সারাবিশ্বের জন্য সুসংবাদদাতা। তিনিই মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন। তার আগে সমাজে নারীর কোনো মর্যাদা ছিল না, বরং নারীদেরকে নানাভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হতো।

তিনি বলেন, আমরা যদি সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি দেশ গড়তে চাই, তাহলে নবীর (সা.) আদর্শ মেনে চলা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হবে। এই নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এরূপ নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার মধ্যে দিয়ে আমাদের দায়িত্ব শেষ হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া, সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ। এতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যরা অংশ নেন। শেষে মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।