প্রবাসীদের পক্ষে মানবতাকর্মীদের আহবান

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

 মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত সকল উপদেষ্টা মহোদয়গণের প্রতি জার্নালিস্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস্ এন্ড ওয়েলফেয়ার (মক্কা কমিটি)।এর পক্ষ হতে আন্তরিক অভিনন্দন। সদ্য গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমরা প্রবাসীরা আশান্বিত। সেই আশার পরিপ্রেক্ষিতে সকল প্রবাসীদের পক্ষে জার্নালিস্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস্ এন্ড ওয়েলফেয়ার
(মক্কা কমিটি)। এর কিছু দাবি তুলে ধরা হল যে দাবিগুলো খুবই আবশ্যিক বলে আমরা মনে করছি।

কোটা আন্দোলনের সুফল হিসেবে আমরা পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই কল্যানময় সময়ে যারা হাসিনার মসনদ নাড়াতে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিল তাদের মধ্যে প্রবাসীদের রেমিটেন্স বন্ধ করা ছিল অন্যতম। যদিও আমরা স্বশরীরে আপানাদের পাশে থাকতে পারি নাই, তথাপি আমাদের পরিবার ছিল আপনাদের সাথে, আর আমাদের রেমিট্যান্স ছিল আমাদের জন্য ।

আমরা প্রবাসীরা যারা আছি, বাংলাদেশ থেকে আমাদের সুযোগ সুবিধার মধ্যে অনেক ত্রুটি রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এয়ারপোর্ট হয়রানি। আমরা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা কোন সময় এয়ারপোর্টে স্টাফদের কাছ থেকে কোনরকম সম্মান পাই না। অথচ একজন যাত্রী হিসেবে যতটুকু সম্মান পাওয়ার যোগ্য আমরা ততটুকুও পাইনা। তাদের ধারণা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা অশিক্ষিত। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বেশি কথা না বাড়িয়ে আমি নুরুল আলম রেমিট্যান্স যোদ্ধার পক্ষ থেকে প্রবাসীদের জন্য দাবি তুলে ধরলাম।
১. প্রবাসীদেরকে এয়ারপোর্টে সম্মানের সাথে রিসিভ করতে হবে।
২. প্রবাসীদের লাগেজের ১০০% সিকিউরিটি দিতে হবে।
৩. প্রবাসীরা মৃত্যুবরণ করলে তাদেরকে বিনা খরচে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. প্রবাসীদের পরিবারের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৫. এম্বাসীগুলোতে প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো দ্রুততম সময়ে গুরুত্ব ও সম্মানের সাথে সম্পন্ন করতে হবে।
৬. প্রবাসীরা অবসরে গেলে তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. বিমানের টিকিটের মূল্য কমিয়ে আনতে হবে।

৮. প্রবাসীদের জন্য বিশেষ স্মার্ট কার্ড প্রনয়ন করা।
প্রবাসীদের পক্ষে,
নুরুল আলম
( উপদেষ্টা, জার্নালিস্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস্ এন্ড ওয়েলফেয়ার)
মক্কা কমিটি।