‘গুম’ তদন্তে কমিশন গঠন করবে সরকার


admin প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২২, ২০২৪, ৮:১২ পূর্বাহ্ন /
‘গুম’ তদন্তে কমিশন গঠন করবে সরকার

শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে প্রতিটি গুমের ঘটনার তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা কমিশন গঠন করবে। সরকারের পক্ষ থেকে শিগগির এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। এছাড়া, সরকার শিগগিরই গুম প্রতিরোধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করবে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি গুমের ঘটনার তদন্ত নিশ্চিত করা হবে। এজন্য সরকার একটা কমিশন গঠনের চিন্তাভাবনা করছে। শিগগির এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে।

এছাড়া, সার্বিক বিষয়ে সরকার শিগগির একজন ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা’ নিয়োগ দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়। গত সরকারের সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা গুম হওয়ার বিষয়টি দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বুধবার এ বিষয়ে তদন্ত ও বিচারের ঘোষণা দেওয়া হলো।

শফিকুল আলম বলেন, কমিশন গঠনের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় একটা কমিশন আছে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে ওই আদলে কমিশন গঠনের বিষয়টি কেবিনেট চিন্তাভাবনা করছে।

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ কনভেনশনে সই করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, গুমের বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল যে কনভেনশন আছে, সেটাতে আগের সরকার সই করেনি। আমরা এটাতে সই করবো। হয়তো ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের আগেই সই করা হবে।

তিনি জানান, শেখ হাসিনার সরকারের সময় অনেক মানুষ গুম হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসাব মতে, সাতশ’র বেশি মানুষ গুম হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশির এখনও কোনো হদিস নেই।

 

প্রসঙ্গত, এনফোর্সড ডিসপিয়ারেন্স ফ্রম অল পার্সনস ফর দ্য প্রোটেকশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন (আইসিপিপিইডি) বা জোরপূর্বক অন্তর্ধান থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলো বিশ্বব্যাপী গুম প্রতিরোধে জাতিসংঘ গৃহিত একটি আন্তর্জাতিক সনদ। এই সনদে স্বাক্ষরকারী প্রত্যেক দেশ গুম প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি-বিধান মেনে চলতে বাধ্য থাকে।