বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ছয় জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে খবর পরিবেশন করছে।
পাঁচ জন নিহতের খবর জানিয়ে রয়টার্স লিখেছে, ‘জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম উল্লেখযোগ্য বিক্ষোভ। উচ্চ বেকারত্বের মধ্যে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটাসহ সরকারী খাতের চাকরির কোটা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ। দাঙ্গা পুলিশ সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উত্তেজনা প্রশমিত করার প্রয়াসে তাণ্ডব চালায়। উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশের রংপুরে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়।’
বার্তা সংস্থা এএফপি লিখেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থনকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, লাঠিসোঁটা ও ঢিল ছুড়ে মারা হয়েছে এবং পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
আল-জাজিরা অনলাইন লিখেছে, ‘রোববার গভীর রাতে বিক্ষোভের মাত্রা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। দেশজুড়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী অবিলম্বে কোটা বাতিলের দাবিতে তাদের হল ত্যাগ করে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুরো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ভারী অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ কর্মীরা কোটা পদ্ধতির প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত হয় শতাধিক শিক্ষার্থী।’
চ্যানেল নিউজ এশিয়া লিখেছে, ‘সোমবার শতাধিক আহত হওয়ার পর দেশব্যাপী বিক্ষোভে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা প্রধান মহাসড়ক ও রেল যোগাযোগ অবরোধ করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভকারী ও ক্ষমতাসীন দলের অনুগত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :