লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলা জগতবেড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কচুয়ার পাড় এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে । এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় জমি-জমার বিষয় ইউনিয়ন পরিষদে, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণের উপস্থিতিতে কয়েকবার গ্রাম্যভাবে ও পাটগ্রাম থানায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরিশেষে উক্ত বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে কোন সমঝোতা না হওয়ায় আগামী ০৮ই মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ সহ উভয়পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মাপযোগ করে সীমানা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু উক্ত সিদ্ধান্ত অমান্য করে আজ ০১ই মে ২০২৪ খ্রি বুধবার সকাল ০৯:৩০ ঘটিকার সময় ১। মোঃ জসীম মিয়া (২০) ২। মোঃ সহিদার রহমান (৫০), ৩। মোঃ রবিউল ইসলাম (৪৫), ৪। মোঃ হাসেন আলী (৩৬), ৫। মোছাঃ হাছিনা বেগম (৪৭), ৬। মোছাঃ তনজিনা বেগম (৪০) ৭। মোছাঃ জোসনা (৩৫)৮। মোঃ সাগর (১৯) একই এলাকার আরো কয়েকজন মিলে দা, কুড়াল, ছোরা, রড ও বাঁশের লাঠি লইয়া নিম্ন তফসীল বর্ণিত নালিশী জমির উপর দখল দেওয়ার চেষ্টা করে। তারপর মোঃ ছফিউদ্দিন উক্ত নালিশী জমির উপর দখল করার কথা জানতে চাইলে তাদের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে কোপ মারা মাত্রই মাথার মাঝ বরাবর গুরুত্বর জখম হয় এবং মাটিতে পরে যায় মাটিতে পরা মাত্রই তাকে আবার হত্যার উদ্দেশ্যে সবাই মিলে এলোপাথারী কিল-ঘুষি মার-ডাং করিতে থাকে। ছফির উদ্দিন চিৎকার করিলে তার ছেলে সুজন তাৎক্ষনিকঘটনাস্থলে যায় ,এমতা অবস্থায় তাকে যাওয়া মাত্রই উক্ত সন্ত্রাসী রা কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই তাকেও এলোপাথারী মার-ডাং শুরু করে এবং তাদের মধ্যে মোঃ জসীম মিয়া তার হাতে থাকা লম্বা ছুরি দিয়ে সুজন কে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারার পরেই সবাই পালিয়ে যায় , সুজন ইসলাম ছুরির কোপ খাওয়ার পর গুরুতর ভাবে আহত হন এমতা অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান এখন তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পাটগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন :