আলোচনায় এখন খামেনির ছেলে মোজতবা


admin প্রকাশের সময় : মে ২১, ২০২৪, ৫:৪২ অপরাহ্ন /
আলোচনায় এখন খামেনির ছেলে মোজতবা

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হতো হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে। তবে খামেনির একান্ত অনুগ্রহভাজন এই নেতার মৃত্যুতে উত্তরাধিকার প্রক্রিয়ায় পাশার দান উল্টে গেছে। এই মুহূর্তে ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে আলোচনায় চলে এসেছে খামেনির পুত্র মোজতবার নাম।

 

অবশ্য বিশ্লেষকদের দাবি, ইরানের নেতৃত্বের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা অসম্ভব। কয়েক দশক ধরে ইরানের স্তম্ভ হিসাবে রাইসির রেকর্ড তাকে খামেনি এবং বিপ্লবী নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির পরে তৃতীয় সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার জন্য অনিবার্য প্রার্থী করে তুলেছিল।

বিশেষজ্ঞ পরিষদ ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে নিয়োগ দেন। নিয়োগের পর তিনি এই পদে আজীবন দায়িত্ব পালন করেন। দেশের পররাষ্ট্র নীতিসহ সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ১৯৮৯ সালে খোমেনির মৃত্যুর পর সর্বোচ্চ নেতার পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন ৮৫ বছরের খামেনি।

 

বার্লিনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মিডল ইস্ট অ্যান্ড গ্লোবাল অর্ডারের পরিচালক আলী ফাতুল্লাহ-নেজাদ জানান, রাইসিকে উত্তরসূরি হিসাবে দেখা হয়েছে কিনা তা ‘বলা খুব কঠিন।’ তবে  খামেনি ‘তার দীর্ঘকালের বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে বড় পদে নিয়ে গেছেন।’

রাইসিকে দেশের প্রধান বিচারপতির আসনে বসিয়েছিলেন খামেনি। সেখানে থেকে তাকে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছিলেন সর্বোচ্চ নেতা। রাইসিকে ‘সর্বোচ্চ নেতৃত্বে আরোহণ সহজতর করতেই’ এগুলো করেছিলেন খামেনি- বলেন আলী ফাতুল্লাহ।

রাইসি ছাড়া সর্বোচ্চ নেতার পদে যার নাম শোনা গিয়েছিল তিনি হচ্ছেন খামেনির ছেলে ৫৪ বছর বয়সী মোজতবা। পর্দার আড়ালে থাকা এই ব্যক্তিকে জনসমক্ষে খুব কমই দেখা যায়। তবে পর্দার আড়ালে তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

আলী ফাতুল্লাহ বলেন, ‘খামেনি দীর্ঘদিন ধরেই তার ছেলে মোজতবাকে উত্তরসূরি হিসেবে স্থান দিতে চেয়েছিলেন।’ তবে শেষ শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করা ইসলামি বিপ্লবীরা ‘বংশীয় শাসনকে’ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল। এ কারণে ছেলেকে উত্তরসূরি করার বিষয়ে খামেনি উদ্বিগ্ন ছিলেন।

আলী ফতুল্লাহ বলেন, ‘রাইসির মৃত্যুতে, খামেনির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কার্ড পাল্টে গেছে। ফলস্বরূপ, মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু এখন মোজতবার ওপর ফিরে এসেছে।’