আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো কিছুটা শঙ্কা মুক্ত বলে জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রী টমাস তারাবা। অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় বিকেলে প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো ‘হাউস অব কালচার’ ভবনের সামনে আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হোন। বন্দুকধারী ৫৯ বছর বয়সী ফিকোকে পাঁচবার গুলি করে। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের কয়েক ঘণ্টা পরে স্লোভাকিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী টমাস তারাবা বিবিসির নিউজ আওয়ারকে বলেন, ‘আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি… সৌভাগ্যবশত যতদূর আমি জানি অস্ত্রোপচারটি ভালোভাবে হয়েছে এবং আমার ধারণা শেষ পর্যন্ত তিনি বেঁচে যাবেন… তিনি এই মুহূর্তে প্রাণঘাতী পরিস্থিতিতে নেই।’
তারাবা জানান, একটি গুলি সরাসরি ফিকোর পাকস্থলিতে এবং আরেকটি জয়েন্টে আঘাত হেনেছে।
দেশটির অনলাইন সংবাদমাধ্যম অ্যাকচুয়েলিটি অজ্ঞাত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, অস্ত্রোপচারের পর ফিকোর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক কয়েক ঘণ্টা আগে একটি সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, বেশ কয়েকটি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে ফিকো ‘গুরুতর পলিট্রমা’তে ভুগছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতুস সুতাজ এস্টক এর আগে বলেছিলেন, হাসপাতালে নেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর জীবন আশঙ্কাজনক ছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিকভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।’ দেশটিতে গত এপ্রিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফিকো পন্থিরা জিতেছিল।
রাজধানী ব্রাতিশ্লোভার ১০০ মাইল উত্তর-পূর্বে হ্যান্ডলোভা শহরে বন্দুক হামলার এই ঘটনা মধ্য ইউরোপের ছোট এই দেশটির নাগরিকদের হতবাক করেছে। আন্তর্জাতিক মহলও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
স্লোভাকিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার এই চেষ্টা চালিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায় রাজনৈতিক সহিংসতার ইতিহাস খুব কম। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই গুলিবর্ষণের ঘটনায় শোক ও নিন্দা জানিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৬৬ বছর বয়সী লুবিকা ভালকোভা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, আমি এটি কাটিয়ে উঠতে পারবো। এই ধরনের জিনিস স্লোভাকিয়াতে ঘটতে পারে না।’
 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
আপনার মতামত লিখুন :