ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা মারওয়ান ইসাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। তিনি হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন।
তেল আবিবের দাবি, দু’সপ্তাহ আগে মধ্য গাজায় এক অভিযানে নিহত হন কাসেম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার মারওয়ান ইসা। বুধবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ’র মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইসার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘গত ৯ থেকে ১০ মার্চ মধ্য গাজার একটি এলাকায় মারওয়ান ইসার ঘাঁটি লক্ষ্য করে আমরা যে হামলা চালিয়েছিলাম তাতে মারওয়ান ইসাকে হত্যা করা হয়েছে।’
গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে এই হামাস কমান্ডারের মৃত্যুর দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েল গতকালের আগ পর্যন্ত ইসার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
গত ১৮ মার্চ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, গত ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি হামলায় হামাসের যে সব নেতা মারা গেছেন তার মধ্যে মারওয়ান ইসাই সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ।
এদিকে ইসার মৃত্যু নিয়ে এখনো কিছু বলেনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের ডেপুটি ছিলেন ইসা। তিনি হামাসের তৃতীয় বৃহত্তম নেতা ছিলেন।
ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবরের হামলার পেছনে তাকে অন্যতম হোতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। যে হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি মারা যায়। ওই হামলার জের ধরেই শুরু হয় এই গাজা যুদ্ধ। চলমান যুদ্ধে ১৩ হাজার হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।
আপনার মতামত লিখুন :