সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে সিরিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামিমা বেগম তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় আপিলে হেরে গেছেন। শুক্রবার লন্ডনের আপিল আদালত শামিমার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।
২০১৫ সালে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী শামিমা বেগম দুই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে সিরিয়ায় পালিয়ে যান। সিরিয়ায় এক আইএস যোদ্ধার সঙ্গে শামিমার বিয়ে হয়। যুদ্ধে নিহত হয় তার স্বামী। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আল-হওর শরণার্থী শিবিরে শামিমার দেখা পান এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। দেশে ফিরতে চাইলেও তৎকালীন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শামিমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। পরে এর বিরুদ্ধে আপিল করলে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে হেরে যান শামিমা। এর বিরুদ্ধে ওই বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় আপিল করেন তিনি।
বর্তমানে ২৪ বছর বয়সী শামিমা তার আপিল আবেদনে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, তিনি পাচারের শিকার কিনা তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা। এ কারণে তার নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশটি বেআইনি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিম্ম আদালতে দায়ের করা আপিলে একই যুক্তি দেখিয়েছিলেন শামিমা। তবে আদালত এবারও শামিমার এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :