স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে বাণিজ্য খাতকে কার্যকরী করার দাবি


admin প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩, ২০২৪, ৩:০৪ পূর্বাহ্ন /
স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে বাণিজ্য খাতকে কার্যকরী করার দাবি

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাণিজ্য খাতকে আরও কার্যকরী করার আহ্বান জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিশ্চিত ও কর আহরণ প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি জানানো হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এক কর্মশালায় এ দাবি করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্যতম করণীয় ও চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করা। আর এ বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও সহজকরণ জরুরি।

 

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কোভিড সংকটের পর বিশ্ব ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, রাশিয়া-ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংগঠিত যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী রেসিলিয়েন্ট ইকোনমি অর্জনের জন্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক খাতকে সুসংগঠিত করতে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, আর্থিক কার্যক্রমকে স্মার্টভাবে পরিচালনার জন্য সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

 

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেশকিছু করণীয় ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে মাহবুবুল আলম বলেন, ট্যাক্স ও জিডিপি বাড়াতে কর কাঠামো পুনঃগঠন এবং ব্যবসাবান্ধব করা। কর আহরণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সহজ করা, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নীতিমালা প্রণয়ন, শ্রমঘন শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারে আর্থিক ও নীতিগত সুবিধা বৃদ্ধি করা, উন্নয়নের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করা, লজিস্টিক খাতের নীতিমালা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বিগত বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বিরাট বাজার আছে, সক্ষমতা আছে, অনেক জটিলতার মধ্য দিয়েও আমারা আজকে এতদূর পর্যন্ত এসেছি।

তিনি বলেন, সব সময়ই যে বাইরের দেশের ফর্মুলায় চলতে হবে এমন নয়, নিজেদের সক্ষমতা বেড়েছে এখন বাংলাদেশের।

 

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে সাত লাখ আইটি এক্সপার্ট দরকার হচ্ছে। কয়েক বছর পর হয়তো ১০ লাখ দরকার হবে। কিন্তু দক্ষতার অভাবে আমরা পাঠাতে পারছি না। দক্ষ লোকবল না গড়ে উঠলে ভবিষ্যতে উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিদেশ থেকে লোক আনতে হবে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।

শিক্ষার মান বাড়ানো জরুরি উল্লেখ করে এনবিআরের সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, প্রতিবছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যায় বিদেশিরা, অথচ দেশের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পাচ্ছে না।

 

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই’র প্যানেল উপদেষ্টা ড. মাশরুর রিয়াজ।

এছাড়া, কর্মশালায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জাভেদ আক্তার, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এর সভাপতি কামরান টি রহমান রহমানসহ আরও অনেকে।