দুর্নীতি দমন বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নাসির হোসেনকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা ও ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আইসিসি এক বিবৃতিতে নাসির হোসেনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আবু ধাবিতে ২০২১ সালে টি-টেন খেলতে গিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন নাসির। সে সময় ৭৫০ ডলার মূল্যের একটি গিফট পেয়েছিলেন। সে উপহার আইফোন ১২ মডেলের বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু কে তাকে এই গিফট দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাকে সেটার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। ম্যাচ পড়াপেটার জন্য তিনি কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কিনা সে বিষয়টিও পরিস্কার করতে পারেননি। এছাড়া প্রস্তাব পেয়েও দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে অভিযোগ না দেওয়া, বিষয়টি তাদের না জানানো কিংবা তাদের কাছ থেকে গোপন করার মতো অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আনুষ্ঠানিক শুনানিতে অংশ নেওয়ার বদলে অভিযোগগুলো মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাসির। ফলে শাস্তি দিতে আইসিসির খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। শাস্তির শর্ত পূরণ করতে পারলে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে আইসিসি।
নাসিরের শাস্তির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২.৪.৩ ধারায় নাসির ৭৫০ ইউএস ডলার উপহারের রসিদ দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী, আইফোন ১২ নেওয়ার মাধ্যমের দুর্নীতির প্রস্তাব কর্মকর্তাকে দেননি। এ ছাড়া ২.৪.৬ ধারাও ভেঙেছেন।
নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর তাকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে বিসিবিও। নাসির বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে। সে পর্যন্ত ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :