করোনাভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন একটি সাবভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জেএন.১ নামক নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
দ্রুত ছড়ানোর কারণে এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংস্থাটির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নভেম্বরের শুরুতে জিএন.১ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ছিল প্রায় ৩ শতাংশ। কিন্তু এক মাসে এটির বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার হার ২৭ দশমিক ১। ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে করোনার জেএন.১ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, কানাডা, ব্রিটেন এবং সুইডেনে সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনার জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টটির সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কম এবং বিদ্যমান টিকাগুলোই এ ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে। তবে সতর্ক করে আরও বলেছে, যেসব দেশে শীত মৌসুম শুরু হচ্ছে, সেখানে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত অন্য সংক্রমণগুলোর পাশাপাশি এ ধরনের কারণে সারস-কভ-২ (করোনাভাইরাস) এর প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো হলো—
জনাকীর্ণ ও বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরতে হবে।
কাশি বা হাঁচির সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
কোভিড এবং টিকার নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে।
বিশেষ করে, যাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন।
অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন।
লক্ষণ দেখা দিলে রোগ শনাক্তের পরীক্ষা করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :