মাগুরা শ্রীপুর উপজেলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সমর্থনে আনন্দ মিছিল করায় এক আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত গোলাম মোরশেদ টুকু (৪৫) গয়েশপুর ইউনিয়নের বড় উদাস গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে ও গয়েশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আহত গোলাম মোরশেদ টুকু বর্তমানে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে গতকাল সন্ধ্যার দিকে শ্রীপুর থেকে এনে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার হাতে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আহত গোলাম মোরশেদ টুকু বলেন, বিকেলে লাঙ্গলবাঁধ বাজারে কৃষি ব্যাংক থেকে বেরিয়ে মোটরসাইকেলে গরুর হাটের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হালিম মোল্যার লোকজন জিনারুল মিয়া, শিমুল, সোহেলসহ ৮-১০ জন অতর্কিত হাতুড়ি-কুড়াল দিয়ে হামলা করে পেটানো শুরু করেন। এ সময় আমি পড়ে গেলে তাদের কাছে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, তুই সাকিবের মিছিল করিস। তুই হালিম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাজনীতি করিস।
গোলাম মোর্শেদ দাবি করেন, সাকিব মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি কয়েকটি গ্রামের লোকজন নিয়ে মিছিল করেছিলেন। এ জন্য চেয়ারম্যান তাকে আগেই হুমকি দিয়েছিলেন। আজ তিনি বাজারে উপস্থিত থেকে লোকজন দিয়ে হামলা করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গয়েশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল হালিম মোল্যা। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ। তাকে নিয়ে আমি এই মুহূর্তে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে আছি। মারামারি হয়েছে আমি শুনেছি।
এ প্রসঙ্গে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম বলেন, টুকুর ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলা রয়েছে। অবশ্যই এদের আইনি আওতায় আনা উচিত।
শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি শুনেছি তার ওপর হামলা চালিয়েছে এবং সে মাগুরা সদর হাসপাতালে আছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, মারামারির ঘটনা শুনেছি। তবে ঠিক কী কারণে মারামারি হয়েছে, এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :