সেই প্রশ্নটা উঠলো বিশ্বকাপ মঞ্চে!


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১০, ২০২৩, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন /
সেই প্রশ্নটা উঠলো বিশ্বকাপ মঞ্চে!

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশ শেষ কবে দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে? এক বোর্ড কর্তাকে এমন প্রশ্ন করা হলে উত্তর দিতে রীতিমত হিমশিম খেয়ে যাওয়ার অবস্থা। ফোনের ওপাশ থেকে উত্তর এলো, ‘কোভিডের পর নাহ খেললাম মিরপুরে?’ সেটা ছিল, টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এর আগে ২০১৬ সালে হয়েছিল টেস্ট সিরিজ। ওয়ানডে সিরিজ হয়েছিল কবে?

ধুলোয় জমা স্মৃতির পাতা উল্টোয় জানা গেল না কবে?

২০১১ বিশ্বকাপের পরপর বাংলাদেশে তিন ম্যাচের ওয়ানডে খেলতে এসেছিল অজিরা। সেটাই দুই দলের শেষ দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ। এরপর ১২ বছর কেটে গেলেও পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে এই দুই দলের সাক্ষাৎ হয়েছে কেবল আইসিসি ইভেন্টে। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ এবং সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে নটিংহ্যামে। এরপর আর দেখা নেই।

চার বছর পর আবার তাদের এক সুঁতোয় গেঁথেছে এবারের বিশ্বকাপ। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া শনিবার পুনেতে খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। কেন বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হয় না? দুই বোর্ড কেন আয়োজন করতে পারে না? বিশ্বকাপ মঞ্চেই সেই প্রশ্নটা উঠল।

প্রশ্ন করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে। যিনি আবার বাংলাদেশের সাবকে স্পিন বোলিং কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। উত্তরে ভেট্টরি বলেছেন, ‘আমি মনে করি বেশিরভাগ দলই সময়সূচী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তারপরে তারা কতটা ব্যস্ত হয়ে যায় বোঝা যায়। আমি মনে করি সব দলেরই একে অপরের বিপক্ষে সমান সংখ্যক খেলার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, কিন্তু সময়সূচী এতটাই আঁটসাঁট যে এটিকে ফ্যাক্টর করা কঠিন। তাই, আমি মনে করি এই যে ম্যাচগুলোর কথা বলা হচ্ছে তা এই কঠিন বাস্তবতায় খুঁজে পাওয়া কঠিন বটে।’

সঙ্গে ভেট্টরি বাস্তবতাও তুলে ধরলেন, ‘আপনি এই বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ান দলের কথা ভাবেন, তারা ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে যাচ্ছে এবং তারপর সরাসরি টেস্ট সামারে ঢুকে যাবে।’

তবে আশার কথা ২০২৩ থেকে ২০২৭ এফটিপিতে (আইসিসি ফিউচার প্রোগ্রাম) বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপক্ষীয় সিরিজ পেয়েছে। ২০২৬ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়া ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশের মাটিতে। পরের বছরের মার্চে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া সফর করবে ২ টেস্ট খেলতে।

বিশ্বকাপ মঞ্চে মূল আলোচনা থেকে খানিকটা সরে গেলেও বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার আগামীকালের পুনের ম্যাচ নিয়ে তেমন কোনো উত্তাপ নেই। অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়াকে হারানো। যদি সেটাও সম্ভব না হয় অন্তত চেষ্টা বড় ব্যবধানে পরাজয় এড়ানো। কেননা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় পরাজয় এড়াতে না পারলে এবং রান রেটে পিছিয়ে থাকলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা হবে না।

মাঠে নামার আগে অস্ট্রেলিয়া জেনেছে, বাংলাদেশের সুপারস্টার সাকিব নেই। তবে তাকে ছাড়া বাকি যারা আছে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ এবং দুই স্পিনার মেহেদী হাসান তাদের নিয়ে অজি শিবিরে আলোচনা হয়েছে তা বোঝা গেল ভেট্টরির কথায়।

‘সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশ অবশ্যই বিগ ফ্যাক্টর। কিন্তু মুশফিকুর, মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে যাদের বিশ্বকাপে রান আছে। আমরা প্রত্যাশা করছি দুই মেহেদী আগামীকাল খেলবে। মাহেদী আমার প্রিয় ক্রিকেটার। ছোট মেহেদীর কথা বলছি। বড়টা নয়। দারুণ বোলার সে। আসলে ওরা দুজনই দারুণ। তারা যদি সুযোগ পায় আমরা নিশ্চিতভাবেই জানি তারা কতটা প্রভাব রাখতে পারবে নির্দিষ্ট দিনে। উইকেট দারুণ দেখেছি যেখানে স্পিন ভেল্কি দেখাতে পারে।’